বাংলাদেশে কর (ট্যাক্স) দায় এড়ানো নয়, বরং সঠিক উপায়ে ট্যাক্স সেভিংসের কৌশল জানা অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত আয়কর কমানোর জন্য সঠিক বিনিয়োগ এবং আইনানুগ সুবিধা ব্যবহার করা সম্ভব। নিচে ট্যাক্স সেভিংসের জন্য কিছু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো:
১. সরকার অনুমোদিত বিনিয়োগে কর সঞ্চয়
সরকারি বিধি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু বিনিয়োগে আয়করের উপর ছাড় পাওয়া যায়। উদাহরণ:
- Provident Fund (PF): কর্মজীবীদের জন্য চমৎকার একটি কর-বান্ধব সঞ্চয় পদ্ধতি।
- জাতীয় সঞ্চয়পত্র: বিশেষ করে পাঁচ বছর মেয়াদী সঞ্চয়পত্র কর সেভিংসের জন্য উপযুক্ত।
- ইন্স্যুরেন্স পলিসি: জীবন বীমায় বিনিয়োগ করলে ট্যাক্স ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।
২. ট্যাক্স রিবেটের জন্য যোগ্য খাত নির্বাচন
যেসব খাতে টাকা ব্যয় করলে কর রিবেট পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করুন। উদাহরণ:
- শিক্ষা খাত: সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ে ছাড়।
- স্বাস্থ্য খাত: নিজের বা পরিবারের চিকিৎসা খরচে কর রিবেট।
- দান খাত: সরকারি অনুমোদিত দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করলে কর ছাড় পাওয়া যায়।
৩. রিটার্ন ফাইলিংয়ে সঠিক তথ্য দিন
আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় সঠিক তথ্য দিন। ভুল তথ্য দিলে জরিমানা গুণতে হতে পারে, যা আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে।
৪. আয়করের জন্য ই-ফাইলিং সুবিধা ব্যবহার করুন
ই-ফাইলিং করলে কম সময়ে এবং সহজে রিটার্ন জমা দেওয়া যায়। এটি কর সেভিংস করার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
৫. হাউজিং লোনে কর সেভিংস
যদি আপনার কোনো হাউজিং লোন থাকে, তবে তার সুদের উপর কর ছাড় পাওয়া সম্ভব।
৬. ব্যবসায়ীদের জন্য কর ছাড়ের সুবিধা
ব্যবসায়িক খাতে কিছু নির্দিষ্ট ব্যয়, যেমন বিজ্ঞাপন বা অফিস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর রিবেট পাওয়া যায়।
৭. আয়করের সর্বনিম্ন সীমা বজায় রাখুন
বর্তমান কর নির্ধারণের ন্যূনতম সীমা অনুযায়ী (২০২৪ সালের জন্য):
- ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় ট্যাক্স ফ্রি।
আপনার আয় যদি এই সীমার বেশি হয় তবে আইনি করণীয়গুলো মেনে চলুন।
৮. পেশাগত পরামর্শ গ্রহণ করুন
একজন কর পরামর্শক (Tax Consultant) থেকে পরামর্শ নিলে কর সেভিংস করার আরও কার্যকর উপায় খুঁজে পেতে পারেন।
উপসংহার
ট্যাক্স সেভিংসের কৌশল ব্যবহার করলে আপনি নিজের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। উপরোক্ত টিপসগুলো অনুসরণ করে ট্যাক্স সিস্টেমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আর্থিক লাভবান হওয়া সম্ভব।
আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে উপকারী মনে হয়? নিচে কমেন্টে শেয়ার করুন!